প্রকাশিত: ২৫/০৭/২০২২ ৮:০৪ এএম
ফাইল ছবি

মাহাবুবুর রহমান ::
ভয়ংকর নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। এতে একদিকে রোহিঙ্গাদের অপরাধ নিয়ন্ত্রনে হিমশিম খাচ্ছে আইন শৃংখলা বাহিনী, অন্যদিকে স্থানীয়রাও দিন দিন রোহিঙ্গাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে। এতে ভবিষ্যতে কি পরিস্থিতি হতে পারে সে চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়ছে সচেতন মহল।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরান হোসেন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবণতা যে দিন দিন বেড়েই চলেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। তারা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে স্বাভাবিক ভাবেই এখানে দায়িত্বরত আইনশৃংখলা বাহিনী বিব্রত। তবে সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে এগুলোর শেষ কোথায় এবং ভবিষ্যত কি সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। ২১ জুলাই বিপুল পরিমান নকল এনআইডি, ট্রেড লাইসেন্স, সনদ পত্র, জন্মনিবন্ধন সহ সে গুলো তৈরির সরাঞ্জাম, ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। ৫ জনকে আটক করা হয়। এ সময় এক অনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় আরেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গারা এখন জেল জরিমানাকেও ভয় করছেনা, তাদের মধ্যে অনেকের ধারণা জেল খাটা কোন বিষয় না, এটা ছেলে খেলা, কিছুদিন পরে বেরিয়ে আসবে। তাই খুন, অপহরণ, লুট, ইয়াবা ব্যবসা, স্বর্ণ পাচার সহ নানান অপরাধ করতে তারা মোটেও ভয় পায় না। অথচ আমাদের স্থানীয় মানুষ অনেকটা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইনকে সম্মান করে ভয় পায়।
উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রতন দাশ বলেন, উখিয়া থানার পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মাসিক যে কয়টি মামলা হয় তার মধ্যে ৭০% রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধ। আবার আসামীও বেশির ভাগ রোহিঙ্গা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা পুলিশ কে ভয় পাওয়াতো দূরের কথা জেল খাটাও কিছুই মনে করে না। আর ২১ জুলাই ক্যাম্পে নকল এনআইডি, বিভিন্ন সনদ, ল্যাপটপ জব্ধ হওয়ার ঘটনায় আমাদেরকে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। রোহিঙ্গারা আসলে কি করতে চাইছে, তারা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কোথায় নিয়ে যেতে চাইছে। সে জন্য সম্মিলিত উদ্দ্যোগ নিতে হবে।

হ্নীলা ইউনিয়নের এক মেম্বার বলেন, আমার কাছে প্রতিদিন অনেক স্থানীয় মানুষ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, টাকা ছিনতাই, মোবাইল ছিনতাই, মারামারি, ব্যবসার টাকা আত্মসাৎ সহ অনেক বিচার নিয়ে আসে, আমি রোহিঙ্গাদের ডেকে পাঠালে তারা আসে না। বরং আমাদের পাত্তাই দেয় না। অনেক সময় দেখি পুলিশকে পর্যন্ত তারা পাত্তা দেয় না। আমাদের পাশে অন্তত ২০/২৫ জনের জমিতে রোহিঙ্গারা জোর করে ঘরবাড়ি করে ফেলেছে। স্থানীয়দের চোখের পানি রাস্তায় রাস্তায় ঝরলেও কেউ শুনেনা।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি নুরুল আজিম সওদাগর বলেন, আমাদের এখন থেকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুরো জেলায় বিশেষ করে শহরে যত গুলো পুরাতন রোহিঙ্গা স্থানীয়দের সাথে মিশে গেছে ঘরবাড়ি করেছে তাদের একটা তালিকা করে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এর পরে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র বাতিল সহ সব নাগরিক সুবিধা বাতিল করতে হবে। তাছাড়া যে সমস্ত রোহিঙ্গার ছেলেমেয়ে স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তাদের তালিকা করে তাদের সনদের পাশে প্রত্যবাসিত নাগরিক বা মায়ারমারের নাগরিক শব্দটি লেখা থাকতে হবে। যাতে তারা লেখাপড়ার সনদ দিয়ে বাংলাদেশের সরকারি চাকরীতে ঢুকে না পড়ে। আর রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনে আলাদা বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সুত্র: কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে গেল ইউএনওর গাড়ি

নির্বাচনী দায়িত্বপালন করতে গিয়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। দুর্ঘটনায় ...

সময়ের আলো’র নাইক্ষ‌্যংছড়ি প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ পেলেন সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ

দেশের শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে চুড়ান্ত নিয়োগ পেলেন ...